স্বদেশ ডেস্ক:
তানজানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিয়া বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন যে- দেশে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ২৩৬ জন। এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ।
মাজালিয়া সংসদে আরো বলেন, ‘দেশের নানা প্রান্তে প্রবল এন নিনো-জনিত বৃষ্টি, তীব্র বায়ুপ্রবাহ, বন্যা ও ভূমিধসের ফলে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।’ নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি যারা ঘর হারিয়েছেন তাদের কাছে যেন ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে যায়, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনকেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৫১ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোনো না কোনোভাবে।
এল নিনো হলো- প্রাকৃতিকভাবে ঘটা জলবায়ুর একটি ধরণ এবং এর সাথে রয়েছে বিশ্বজোড়া তাপমাত্রার বৃদ্ধি। পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত পরিস্থিতিকে আরো খারাপ দিকে নিয়ে গেছে এল নিনো।
এই বৃষ্টি কেনিয়া ও বুরুন্ডিসহ এই অঞ্চলের একাধিক দেশে বন্যা সৃষ্টি করেছে, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য জরুরি অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে।
কেনিয়াতে বন্যার কারণে ৩৫ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার পর্যন্ত মৃতের পরিসংখ্যান এটি, তবে প্লাবন অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাইরোবির কিছু অংশ বৃহস্পতিবারেও ছিল জলমগ্ন। এদিকে, আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ ও বুরুন্ডি সরকার চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছে, কয়েক মাস অবিরাম বৃষ্টির ফলে সে দেশে প্রায় ৯৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
জাতিসঙ্ঘের মানবিক সংস্থা বলেছে, সোমালিয়ার একেবারে উত্তরে এপ্রিল থেকে জুন মাসে বর্ষণ তীব্র হয়ে চলেছে। ১৯ এপ্রিল আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
ভয়াবহ বন্যা এই অঞ্চলে নতুন নয়।
গত বছর ভারী বৃষ্টি ও বন্যার ফলে কেনিয়া, সোমালিয়া ও ইথিয়োপিয়ায় ৩০০-র বেশি মানুষ মারা যান।
১৯৯৭ সালের শেষভাগ থেকে ১৯৯৮ সালের শুরুর দিকে ব্যাপক বন্যায় এই অঞ্চলের পাঁচটি দেশে ৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা